সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দেশটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন বেসামরিক নাগরিক।
শনিবার এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এর আগে, শুক্রবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির বার্তাসংস্থা সানা হামলার জন্য জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) দায়ী করেছে। রাষ্ট্রীয় ওই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
হামলায় নিহতদের মরদেহ পালমিরা প্রাদেশিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের প্রধানের বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, হাসপাতালে নেয়া নিহতদের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।
হামলায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আইএস যোদ্ধারা তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে এ হামলায় এখনো দায় স্বীকার করেনি আইএস। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার মধ্য, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বাঞ্চলে ট্রাফল সংগ্রহের সময় নারী ও শিশুসহ অনেক লোককে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত কামিশলি শহরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জন। ওই সময় হামলার দায় স্বীকার বিবৃতি দিয়েছিল আইএস। এ হামলার পর এটি হবে আইএসের সবচেয়ে বিধ্বংসী হামলা।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক কোটির বেশি মানুষ।