পাকিস্তানের করাচি শহরে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে বন্দুক হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ হামলা চালিয়েছে বন্ধুকধারীরা। থানা লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। এতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বন্ধুকধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযানের রয়েছে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট সিন্ধু রেঞ্জার্স।
সিন্ধু রেঞ্জার্সের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রাথমিক অনুমান বলছে বন্দুক হামলার ঘটনায় আট থেকে দশজন ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ রয়েছে। করাচির মেইন শারিয়া ফয়সালে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ের পাশেই অবস্থিত সদর থানা। সেখানেও হামলা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সদর পুলিশ স্টেশন।
বন্দুকধারীদের মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও রেঞ্জার্স ডাকা হয়েছে। শারিয়া ফয়সাল হলো করাচির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফয়সাল ঘাঁটিসহ আরও বেশ কয়েকটি কৌশলগত স্থাপনা রয়েছে। এখানে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রথম হামলার খবর পাওয়া যায়।
সিন্ধু রেঞ্জার্সের মুখপাত্র বলেছেন, ইতোমধ্যে কুইক রেসপন্স ফোর্স (কিউআরএফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘পুলিশের পাশাপাশি রেঞ্জার সদস্যরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
করাচি দক্ষিণের ডিআইজি ইরফান বালোচ বলেছেন, এখনও গোলাগুলি চলছে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। তবে আহতদের সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে জিন্নাহ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের পুলিশ সার্জন ডাঃ সুমাইয়া সৈয়দ তারিক আল জাজিরাকে বলেছেন, হামলায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তিনজন আহত পেয়েছি।
এর মধ্যে একজন উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবক, একজন পুলিশ অফিসার ও একজন আধাসামরিক রেঞ্জার্স অফিসার। সবাই গুলিতে আহত হয়েছে। তেবে তাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়। এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।