তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলছে। আটদিন পার হলেও মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়ায় সংখ্যাটি পাঁচ হাজারের বেশি। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন।
ভূমিকম্পের ৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ায় জীবিত মানুষের জন্য আলাদাভাবে তল্লাশি অভিযান বন্ধ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবুও অলৌকিকভাবে মঙ্গলবার ৯ জনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ততোক্ষণে পেরিয়েছে ভূমিকম্পের ২০০ ঘণ্টা। দুইটি দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য প্রয়োজন জরুরি সহায়তা।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাখা ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, শুধু তুরস্ক নয় বরং গোটা মানব ইতিহাসে এটি ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলেও বর্তমানে গোটা আন্তর্জাতিক মহল পাশে দাঁড়িয়েছে।
তবে, সিরিয়ায় এখনও বহু মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। এমনকি, ঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না উদ্ধারকাজও। দেশটির জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রয়ারি) সকালে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। এতে গুঁড়িয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল, স্কুল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষ।
সিরিয়া-তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ১৯৩৯ সালের পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। সূত্র: আল জাজিরা ও রয়টার্সের।