যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় বারংবার দেখা মিলছে রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তুর। রোববারও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তের কাছে লেক হুরনের উপরেও উড়ন্ত বস্তু নজরে এল। সেই রহস্যজনক বস্তু দেখতে পাওয়ার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে এই অজ্ঞাত জিনিসটিকে যুদ্ধবিমান এফ ১৬ থেকে গুলি করে ধ্বংস হয়।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তু ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে উদ্বেগ তৈরী হয়েছে, যা চীনা বেলুন দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর গত সাতদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চারটি এই ধরনের জিনিসকে গুলি করে নামানো হলো। দুইটি নামানো হয়েছে কানাডায়।
তবে প্রথম বেলুনটির ক্ষেত্রেই মার্কিন অভিযোগ ছিল, চীন নজরদারির জন্য তা পাঠিয়েছে। বেইজিং অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তারপরের তিনটি জিনিস সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কোন দেশ থেকে তা পাঠানো হয়েছে তাও বলা হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, বাইডেন চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে অজ্ঞাত জিনিসটিকে গুলি করে নামানোর নির্দেশ দেন।
নামপ্রকশে অনিচ্ছুক ওই উচ্চপদস্থ অফিসার বলেছেন, রোববারেরে সেই উড়ন্ত বস্তুর আকৃতি অষ্ঠভুজাকার ছিল, এর নীচ থেকে একটি দড়ির মতো বস্তু ঝুলছিল। তবে আটকোণা জিনিসটি নজরদারি করছিল এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও তা গুলি করে নামানোর কারণ হলো, অজানা জিনসটি উড়ছিল ২০ হাজার ফুট উপর দিয়ে। ফলে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি আরও জানান, রোববার অল্প সময়ের জন্য লেক মিশিগানের উপর দিয়ে বিমান চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তখনই এই অজানা জিনিসটিকে গুলি করা নিচে নামানো হয়।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা মাইকেল ম্যাককল বলেছেন, চীন এভবে নজরদারি চালাচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রর পরমাণু প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সব তথ্য জানতে চাইছে। এভাবে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে উসকানিও দিচ্ছে।
মার্কিন সেনেটর চাক স্কুমার বলেছেন, ক্যানাডায় যে দুইটি জিনিসকে গুলি করে নামানো হয়েছে, সেটাও বেলুনই ছিল। তবে প্রথম বেলুনের তুলনায় তা আকারে ছোট ছিল।