২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩২:১০ পূর্বাহ্ন


থানা থেকে ছিনিয়ে তরুণকে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা
রিয়াজ উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২৩
থানা থেকে ছিনিয়ে তরুণকে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা থানা থেকে ছিনিয়ে তরুণকে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা


পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক তরুণকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। পাঞ্জাবের নানকানা সাহিব শহরে শনিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পাকিস্তান পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ ওয়াকাস বলেন, নিহত ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ ওয়ারিস। বয়স প্রায় বিশ বছর। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন অবমাননার অভিযোগে তার ওপর হামলা চালানো হলে তাকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। কিন্তু উত্তেজিত জনতা থানায় হামলা চালায় এবং ওয়ারিসকে থানা থেকে বাইরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তারা তার মৃতদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টাও করেছিল।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে থামাতে পারেনি। কারণ, ওই সময় থানায় হাতেগোণা কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই থানায় বাড়তি পুলিশ পাঠানো হয় এবং তারা জনতাকে মৃতদেহে আগুন দেয়া থেকে আটকাতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ওই ভিডিও সত্য বলে নিশ্চিত করেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে পা ধরে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়।

২০২১ সালে দেশটিতে শ্রীলঙ্কার এক নাগরিককে একই অভিযোগে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় পাকিস্তান ও দেশটির বাইরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের আদালত।

আন্তর্জাতিক নানা মানবাধিকার সংগঠনের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ধর্ম অবমাননার নামে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে পাকিস্তান পুলিশ যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে না। বরং এ ধরণের ঘটনার সময় তাদের নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতেই বেশি দেখা যায়।

মুহাম্মদ ওয়ারিসকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।