সোমবার তুরস্কে ঘটে যাওয়া বিধ্বংসী ভূমিকম্পে উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার বিকেল অবধি আরও প্রায় ১২ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল হতেই দেখা গেল সেই মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে হয়েছে কমপক্ষে ১৫, ৮৩৮ জন। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গত সোমবার থেকে তুরস্কে যেভাবে একের পর এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে চলেছে, তাতে গত এক দশকের বেশি সময়ে একেই বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যেই দোসর হয়েছে বৃষ্টি এবং প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়া। ফলত উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের।
সেখানে ঠান্ডা এবং বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা অনেক নেমে গিয়েছে। তারমধ্যেই ধ্বংসাবশেষের তলায় আটকে থাকা জীবিতদের বাঁচানোর কাজ চলছে। এই শীত উপেক্ষা করে সবাই খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন একপ্রকার বাধ্য হয়েই। যারা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরাও সেই ধ্বংসাবশেষের সামনেই অপেক্ষা করে আছেন, যদি পরিবারের সদস্যদের কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়।
সোমবার তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এই ভয়াবহ ঘটনার পর সর্বপ্রথম ভারত সেদেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এরপর একে একে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইজরায়েল এবং রাশিয়া-সহ একাধিক দেষ সাহায্যের ঝুলি উপুড় করে দিয়েছে এই দুই দেশের উপরে। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ভূমিকম্পের পরে ৭০টি দেশ এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থা তুরস্ককে ত্রাণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।