রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা বাড়াল দু’পক্ষই। এর ফলে দুই শিবিরেরই শতাধিক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সাম্প্রতিক কালের সব চেয়ে বড় হামলাটি তারা চালিয়েছে গত মঙ্গলবার। সেই হামলায় ১ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে জ়েলেনস্কি প্রশাসন। রাশিয়া অবশ্য পাল্টা দাবি করেছে যে, তাদের শিবিরে কোনও সেনা মারা যায়নি। বরং প্রাণঘাতী হামলায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকজন সেনা মারা গিয়েছে।
অন্য দিকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য লেপার্ড ট্যাঙ্কের জোগান বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে জার্মানি, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস। মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়েছিলেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াস। বহুদিন ধরেই লেপার্ড ট্যাঙ্ক দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল ইউক্রেন প্রশাসন। সাময়িক টালবাহানার পর কিছু লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনে। মঙ্গলবার জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২৩ সালের মধ্যেই ইউক্রেন ৮০টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাবে। জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হিলব্যাক তাঁর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে গিয়ে ইউক্রেনকে আরও বেশি যুদ্ধাস্ত্র এবং রসদ তুলে দেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমেরিকান প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, সে দেশের তরফে ইউক্রেনকে যে সামরিক প্যাকেজ তুলে দেওয়া হবে, তার মধ্যে থাকবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও। এর ফলে ইউক্রেন তাদের পূর্বাংশে রাশিয়ার রসদ সরবরাহকে বিঘ্নিত করতে সক্ষম হবে বলে পশ্চিমি দেশগুলির আশা।
বড়দিনের পর থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে রাশিয়া। এই অবস্থায় পশ্চিমি শক্তিগুলিও নতুন নতুন সমরাস্ত্র তুলে দিচ্ছে ইউক্রেনের হাতে। রাশিয়ার তরফে অবশ্য অভিযোগ করা হচ্ছে, ইউক্রেনকে প্ররোচিত করে যুদ্ধকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মঙ্গলবারই বলেছেন, “আমেরিকা এবং সহযোগী দেশগুলি যুদ্ধটাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।”