২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩৯:৫৭ পূর্বাহ্ন


তুরস্কে তীব্র ভূমিকম্প পূর্বাভাস ৩ দিন আগেই জানিয়েছিলেন ডাচ গবেষক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০২-২০২৩
তুরস্কে তীব্র ভূমিকম্প পূর্বাভাস ৩ দিন আগেই জানিয়েছিলেন ডাচ গবেষক ফাইল ফটো


সিরিয়ায় যে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হতে পারে তার পূর্বাভাস নাকি দিয়েছিলেন ডাচ গবেষক। তুরস্কের এক সংবাদ মাধ্যম এই সংবাদ প্রকাশ্যে এনেছেন। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েছিলেন সেই ডাচ গবেষক। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কী ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব? কারণ এতদিন পর্যন্ত সকলেই জানতেন যে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।

আগেই নাকি জানানো হয়েছিল এমনই বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে তুরস্ক, সিরিয়ায়। এক ডাচ গবেষক নাকি গত ৩ ফেব্রুয়ারি টুইট করে জানিয়েছিলেন ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক, জর্ডন, সিরিয়া, লেবানন িরজিয়নে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। ডাচ গবেষক ফ্র্যাঙ্ক হুগেরবার্গ গত ৩ ফেব্রুয়ারি সতর্ক করে টুইট করেছিলেন। তুরস্কের এক সংবাদ পত্রে সেই টুইটের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরেও কেন সতর্ক করা হল না তুরস্ক সিরিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস কি দেওয়া সম্ভব?

ডাচ গবেষকের টুইট প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভূমিকম্পের কী পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। কারণ ঝড় বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় এমনকী সুনামির পূর্বাভাস দেওয়া গেলেও ভূমিকম্পের নাকি পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু ডাচ গবেষক যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তা কিন্তু মিলে গিয়েছে তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কী পরবর্তী ক্ষেত্রে এই ধরনের বড় ভূমিকম্পের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে?

গতকাল স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ তীব্র কম্পন অনুভূত হয় তুরস্কের দক্ষিণ ভাগে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৯। তাসের ঘরের মত গুঁড়িয়ে গিয়েছে বাড়িঘর। অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তুরস্কতেই মারা গিয়েছেন ২০০০-র বেশি মানুষ। এখনও অসংখ্য মানুষের দেহ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তার উপরে আবার ৭০টি আফটার শক হয়েছে তুরস্কে। মঙ্গলবার সকালে আবার ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। তার সঙ্গে আবহাওয়াও অত্যন্ত প্রতিকূল। প্রচণ্ড তুষারপাত আঈর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

তুরস্কের ভূমিকম্পের আঁচ গিয়ে পড়েছে সিরিয়া, লেবাননেও। সিরিয়ায় ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৮। তার পরে কমপক্ষে ৫০ বার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কীভাবে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। সেখানেও প্রায় ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা হতাহতের সংখ্যা ৫০০০ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।