২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন


বাইডেনের অভিবাসন নীতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ অঙ্গরাজ্যে মামলা
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০২-২০২৩
বাইডেনের অভিবাসন নীতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ অঙ্গরাজ্যে মামলা টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ অঙ্গরাজ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের নেতৃত্বে এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বাইডেনের উক্ত অভিবাসন নীতিতে আগামী দুই বছরের জন্য প্রতি মাসে ৩০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে আইনিভাবে প্রবেশের অনুমতির কথা উলেখ করা হয়েছিল। এ প্রোগ্রামটি ২০২৪ সালের মধ্যে ৭ লাখ ২০ হাজার অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করা হয়। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

টেক্সাসের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টে টেক্সাস ও আমেরিকা ফার্স্ট লিগ্যালের দায়ের করা মামলায় আরও ১৯ টি রাজ্য যোগ দিয়েছে। তারা বাইডেন প্রশাসনের এই প্যারোল প্রোগ্রামকে আটকে দিতে চাইছে।

টেক্সাসের সাথে মামলায় যোগদানকারী রাজ্যগুলো হলো- আলাবামা, আলাস্কা, আরকানসাস, ফ্লোরিডা, আইডাহো, আইওয়া, কানসাস, কেনটাকি, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, মিসৌরি, মন্টানা, নেব্রাস্কা, ওহিও, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, টেনেসি, উটাহ, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ওয়াইমিং।

সাম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন যুক্তি দেখান, প্রোগ্রামটি ‘অবৈধভাবে কয়েক হাজার অভিবাসীর নাগরিকত্বের জন্য একটি বাস্তব পথ তৈরি করে।’

প্যাক্সটন আরও বলেন, টেক্সাস অবৈধ অভিবাসন কমাতে লড়াই করছে এবং বাইডেনের নীতি এ বিষয়টিকে আরও জটিল করছে।

প্যাক্সটন বলেন, ‘আমেরিকার প্রতিটি রাজ্য বিশেষ করে টেক্সাসের মতো সীমান্ত রাজ্য অবৈধ অভিবাসনের প্রভাবে পিষ্ট হচ্ছে। ‘বাইডেন ওপেন বর্ডার অ্যাজেন্ডা’ একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে যা আমাদের রাস্তায় অপরাধ ও সহিংসতা বৃদ্ধি করছে, স্থানীয় সম্প্রদায়কে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে এবং সংকটকে আরও খারাপ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এই বেআইনি সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচি প্রতি বছর কয়েক হাজার অভিবাসীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবে এবং অভিবাসন সংকটকে আরও খারাপ করে তুলবে।’

বাইডেন অবৈধ অভিবাসন কমাতে সহায়তা করার জন্য নীতিটি চালু করেন।

সাম্প্রতিক কিছু প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসন বিশ্বাস করে যে নীতিটি দেশের জন্য উপকার বয়ে আনবে। কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা এই চারটি দেশকে সহায়তা করাই এই প্যারোল প্রোগ্রামের লক্ষ্য। এর ফলে সীমান্তে এই চারটি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ধড়পাকড় ডিসেম্বর থেকে ৯৭ শতাংশ কমে গেছে। ডিসেম্বরের শুরুতে এসব দেশ থেকে আসা অভিবাসী ধরপাকড়ের গড় সংখ্যা ছিল প্রতিদিন ৩ হাজার ৩৬৭। এখন তা কমে হয়েছে ১১৫। অবৈধ অভিবাসন হ্রাস সত্ত্বেও রিপাবলিকান অধ্যুষিত রাজ্যগুলো আর অভিবাসীদের গ্রহণ করতে আগ্রহী নয় এবং এটি সম্পর্কে আপত্তি জানাচ্ছে।