মাত্র ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারবেন বলে দাবি করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । শুক্রবার টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন, তাহলে একদিনের মধ্যেই এই বিধ্বংসী যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। ট্রাম্পের দাবি, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হত না।
সদ্যই ফেসবুক ও টুইটারে নিজের প্রোফাইল ফিরে পেয়েছেন ট্রাম্প। তারপর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কড়া বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করুন।
বৃহস্পতিবার বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, একবার যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপর তো দরকার পড়লে পরমাণু অস্ত্রও দেবে। সময় নষ্ট না করে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ থামান। খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে।
শুক্রবার ফের একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সরাসরি দাবি করেন, তিনি সুযোগ পেলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। ট্রাম্পের দাবি, আমি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধ শুরুই হত না। এখনও যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসান হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সহমতিতে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তা মেনে নেয়া যায় না। এই টুইটের পরে ট্রাম্পের অনুসারীরাও দাবি তোলেন, একমাত্র ট্রাম্পই এই যুদ্ধ থামাতে পারেন।
ভিডিও বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি যদি আবাও ক্ষমতায় আসতে পারেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য একটি দুর্ভেদ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরি করবেন। ঠিক যেমন ইসরাইল এখন ‘আয়রন ডোম’ দ্বারা সুরক্ষিত।
উল্লেখ্য, ক্যাপিটল হিংসার পর ফেসবুকে অন্তত ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ে তার ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা করেছে মেটা। তাদের দাবি, রাজনীতিবিদরা কী বলছেন, তা জানতে চায় জনগণ। তাই ট্রাম্পের ব্লক হওয়া অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিচ্ছে মেটা। একই সময়ে টুইটার ও ফেসবুকে নিজের প্রোফাইল ফিরে পান ট্রাম্প। তারপর থেকেই বর্তমান মার্কিন সরকারের লাগাতার সমালোচনা করছেন তিনি।