এবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত গোটা ক্যাম্পাস। তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনীর সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
বিবিসির তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন' ঘিরে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) উত্তাল ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে। উত্তেজনার একপর্যায়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি অফ আর্টসে ১৪৪ ধারা জারি হয়।
একই পরিস্থিতি তৈরি হয় জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর, হায়দরাবাদ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। প্রামাণ্যচিত্রটি স্ক্রিনিংয়ের সময় ক্যাম্পাসগুলো থেকে আটক করা হয় কয়েকজনকে। তথ্যচিত্র দেখানোর সময় বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটে প্রেসিডেন্সিতেও।
তবে দিল্লি পুলিশ জানায়, প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়নি। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় নিরাপত্তার কারণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রটির লিংক টুইটার-ইউটিউবকে সরানোর নির্দেশ দেয় ভারত। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের ডকুমেন্টারিতে ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। অবশ্য প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছে মোদি সরকার।