ব্রিটিশ পুলিশ ফের বুঝিয়ে দিল তাদের চোখে আইনের ঊর্ধ্বে নয় কেউ, এমনকী প্রধানমন্ত্রীও। চলন্ত গাড়িতে একটি প্রচারমূলক ভিডিও চিত্রগ্রহণের সময় সিটবেল্ট না পরার অপরাধে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে ১০০ পাউন্ড জরিমানা করেছে তারা।
সুনাক আগেই এই ভুলের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ নাগরিকের মতো তাঁকেও জরিমানার বিল ধরিয়েছে পুলিশ। ব্রিটিশ পুলিশের এক কর্তা বলেন, আইনে প্রধানমন্ত্রী বা কোনও পদাধিকারীকে ছাড় দেওয়ার বিধান নেই। সুনাক আগে নাগরিক, তারপর প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঋষি যথাসময়ে জরিমানার অর্থ জমা করে দেবেন। পুলিশ জানিয়েছে, সময়মতো জমা না করলে জরিমানার অঙ্ক বেড়ে পাঁচশো পাউন্ড হবে। বিবাদ মেটাতে আদালতেও ছুটতে হবে।
ট্রাফিক বিধিভঙ্গের অভিযোগে এর আগেও সুনাককে জরিমানা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। দু’বছর আগে কোভিড বিধি ভেঙে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের অভিযোগেও জরিমানা গুনতে হয় বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।
ঋষির বিরুদ্ধে সিটবেল্ট না বাঁধার বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে একটি সরকারি প্রচার ভিডিও দেখে। সামান্য সময়ে জন্য প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে সিটবেল্ট না বেঁধে ছিলেন। সুনাক নিজেই ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চান। প্রধানমন্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে বিবিসিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ‘ঋষি হলেন সততার সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন একজন ব্যক্তি, যিনি সিটবেল্ট না বেঁধে ভুল করেছিলেন। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।