তীব্র তুষারপাত ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ এ দাঁড়িয়েছে। দেশটির কয়েকটি প্রদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অবস্থায় খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবনযাপনের মধ্যই বৈরি আবহাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মতো তুষার পড়ছে। বরফে ঢেকে আছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা কয়েকদিনের অব্যাহত তুষারপাতে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ বেশিরভাগ প্রদেশ। সড়কে কয়েক ইঞ্চি পর্যন্ত বরফের স্তর জমে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। এতে কাজ করতে না পেরে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে অব্যাহত তুষারপাতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এ ছাড়া ঠান্ডাজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গেল এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডায় কাঁপছে আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দেশটির কিছু কিছু প্রদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। অব্যাহত তুষারপাতের সঙ্গে তীব্র ঠান্ডার এ পরিস্থিতি আরও বেশ কয়েকদিন থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত প্রদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবুল, গজনি, হেরাত, পাঞ্জশের, লাঘমান, কুনার, নুরিস্তান, পাকতিয়া, ঘোর, কান্দাহার, বাঘলান, নানগারহার, কাপিসা, পারওয়ান ও বামিয়ান।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ। এ অবস্থার মধ্যেই এত ঠান্ডা আরো মানবিক বিপর্যয় তৈরি করছে দেশটিতে। এতে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।