বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এতে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ সময় মতো শেষ করা যায়নি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালের শেষ দিকে উৎপাদনে আসতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রের জন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজও শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে সব কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। কোনও অসুবিধা হবে না। প্রথম ইউনিটের কাজ ৮৭ শতাংশ শেষ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মধ্যেই কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদনের আসার কথা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুরের কাজে দেরি হচ্ছে কিনা—জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সব কাজ ঠিকমতো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সমন্বয় করেই কাজ চলছে।
জানা যায়, জার্মান কোম্পানি সিমেন্স এজি রূপপুরের উপকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার সময় পিছিয়ে যাওয়া ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিনক্ষণ (সিওডি) প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এর রিয়্যাক্টরটি উন্মুক্ত রেখে বিভিন্ন সিস্টেমের ‘ফ্লাশিং’-এর কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে বিশেষায়িত ‘পোস্ট ইনস্টলেশন ক্লিনিং (পিআইসি)’।
সে সময় রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি ডেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, রিয়েক্টর উন্মুক্ত রেখে সক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর ফ্লাশিং প্রি-কমিশনিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সব যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ব্যবস্থার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আর এটি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে প্রথম।
রূপপুর প্রকল্পে স্থাপিত হচ্ছে দুটি তৃতীয় প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। রুশ এই রিয়্যাক্টর মডেলটি সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।