বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, ‘ঢাকায় মেট্রোরেলের এ মুহূর্তটি জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে এটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ সম্পর্ককে আমি আরো গভীর করতে চাই।’ গতকাল বুধবার উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার জাপান। এ প্রকল্পের উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত সুধীজনদের বাংলায় সালাম দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা তাকে করতালি দিয়ে সম্ভাষণ জানান।
ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘ঢাকার সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের চলাচলে এই সংযোজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি একটি নিরাপদ পরিবহন, বিশেষ করে নারীদের জন্য। এ দ্রুতগতির নিরাপদ পরিবহন সেবার মধ্য দিয়ে ঢাকার চেহারা বদলে যাবে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে তার দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে আমি কাজ করে যাব।’ সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইচিগুচি তামোহিদে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলায় বলেন, ‘শুভ সকাল’। তিনি বলেন, আমি এখানে এসে খুবই খুশি হয়েছি। বক্তব্য শেষে ইচিগুচি বাংলায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সবাইকে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেন। তিনি বাংলায় বলেন, আমি বাংলাদেশে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। ১০ দিন হলো আমি বাংলাদেশে এসেছি। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ সম্পর্ককে আমি আরো গভীর করতে চাই। তিনিও শেষে বাংলায় ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। জাপানের এ দুই দূত তাদের বক্তব্যের একটি অংশ বাংলায় দেওয়ার সময় সুধী সমাবেশস্থলে ব্যাপক করতালি পড়ে।