চলতি বছর সর্বোচ্চসংখ্যক সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) স্বীকৃতি পেয়ে রেকর্ড অর্জন করল বাংলাদেশ। দেশে নতুন করে আরো তিনটি কারখানা সবুজ কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে সবুজ কারখানার স্বীকৃতির সংখ্যা দাঁড়াল ৩০। আর দেশে মোট সবুজ কারখানা হলো ১৮৩টি।
গতকাল মঙ্গলবার বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক (১৫টি) কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি পেয়েছে। নতুন করে স্বীকৃতি পাওয়া কারখানা তিনটি হলো সুইসটেক্স ভিলেজ, জিন্নাত নিটওয়্যারস লি. (আরএমজি) ও জিন্নাত নিটওয়্যারস লি. (প্রিন্টিং)। এর মধ্যে প্রথমটি ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অবস্থিত। অপর দুটি কারখানা ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। সুইসটেক্স লি. গোল্ড এবং বাকি দুটি কারখানা প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে সবুজ স্বীকৃতি পেয়েছে।
সংখ্যার হিসাবে ২০২২ সালে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি অর্জনে প্রথম বাংলাদেশ (৩০টি)। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২৮টি কারখানা এই স্বীকৃতি অর্জন করে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে আমরা অত্যন্ত খুশি। যেমনটি আমরা অনুমান করেছিলাম, এ বছর সর্বোচ্চসংখ্যক রেকর্ড অর্জন করেছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘লিড সার্টিফায়েড কারখানাগুলোতে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির সঠিক এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি। পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরেই এ ধরনের স্বীকৃতি মেলে। কাজেই এই জায়গাতেও একটা বেশ বড় উন্নতি হয়েছে।
এ বছর স্বীকৃতি পাওয়া ১৮৩টি কারখানার মধ্যে গোল্ড ক্যাটাগরির ১০৯টি, প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৬০টি, সিলভার ক্যাটাগরির ১০টি এবং সাধারণ স্বীকৃতির চারটি কারখানা রয়েছে। ’
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। এ জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরনো ভবন সংস্কার করে আবেদন করা যায়।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর দেশি-বিদেশি সমালোচনার মুখে ব্যবসা টেকাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে মনোযোগী হন তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। তখন চাপ কিংবা বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তাঁদের কেউ কেউ পরিবেশবান্ধব কারখানা নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পরে সেই আগ্রহ অন্য উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।