২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন


কানাডায় বিলুপ্তির পথে মেরু ভাল্লুক
মোজাম্মেল হক রনি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১২-২০২২
কানাডায় বিলুপ্তির পথে মেরু ভাল্লুক কানাডায় বিলুপ্তির পথে মেরু ভাল্লুক


জলবায়ু পরিবর্তনের ফল যে প্রাণীদের উপর মারাত্মক ভাবে পড়েছে তার মধ্যে একটি মেরু ভাল্লুক। যাকে পোলার বিয়ার (ঢ়ড়ষধৎ নবধৎ) বলা হয়। বিশ্ব উষ্ণায়ণের ভয়ঙ্কর প্রভাব জলবায়ু বদল। মাথার উপর খাঁড়া ঝুলিয়েই রেখেছে। এর ফলে একদিকে যেমন দূষণের মাত্রা বেড়েছে, তেমনই পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রাও বেড়ে চলেছে। মেরু অঞ্চলে হিমবাহ গলছে, সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু প্রজাতির প্রাণীরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে চলেছে। খাদ্যসঙ্কট, বাসস্থানের অভাবের কারণে মেরু ভাল্লকও বিলুপ্তির পথে।

প্রাণীবিদদের সমীক্ষা বলছে, কানাডার মেরু এলাকার হাডসন বে অঞ্চলে মেরু ভাল্লুকদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমছে। ইতিমধ্যেই এই প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার (ওটঈঘ)-এর রিসার্চ রিপোর্ট বলছে, খুব বেশি হলে আর ৪০ বছর। যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে আর বরফ গলছে, তাতে মেরু ভাল্লুকদের প্রজাতিই একসময় মুছে যাবে পৃথিবী থেকে।

বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, গরমের জেরে সামুদ্রিক বরফ গলে যাচ্ছে দ্রুত হারে। ফলে পোলার বিয়ারদের বাঁচার আশা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পোলার বিয়ারের সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে কমে ১৭ হাজার হয়ে যাবে আগামী ৩৫ বছরেই। 

বিজ্ঞানীরা আরও কিছু মর্মান্তিক ঘটনার কথা বলছেন। মেরু ভাল্লুকদের মধ্যে নিজেদের জাতের ভাল্লুকের মাংস খাওয়ার ঘটনা অনেক আগেই থেকেই দেখা যায়। তবে ইদানীং তা অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সুমেরুর বরফ গলছে। সেই সঙ্গে ওই মেরু ভাল্লুকদের স্বাভাবিক বাসস্থানের এলাকায় খনিজ তেল উত্তোলন চলছে। ফলে নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে সরে যেতে হচ্ছে মেরু ভাল্লুকদের। আর সেই কারণে ঠিক মতো শিকার পাচ্ছে না তারা। নিজের বাচ্চাদেরও মেরে খেতে দেখা গেছে মেরু ভাল্লুকদের।