এখন থেকে সরকারের কোনো সচিব বা সমমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্দেশনা প্রণয়ন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করতেই চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা করা হয়েছে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ কোনো আইন/অধ্যাদেশ/আদেশ/বিধিতে ভিন্নরূপে নির্দিষ্টকৃত না থাকলে কর্মরত কোনো সচিব বা সমগ্রেডভুক্ত কোনো কর্মকর্তা চেয়ারম্যান বা পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।’
এই বিষয়ে বর্তমানে সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। অবশ্য সরকারে কর্মরত কোনো সচিব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালকও এখন নেই।
বর্তমানে যাঁরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকে চেয়ারম্যান, পরিচালক নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে নতুন নীতিমালায়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান চেয়ারম্যান/পরিচালকেরা তাঁদের অবশিষ্ট মেয়াদে এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, যেন তাঁরা এই নীতিমালার আওতায় নিযুক্ত হয়েছেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে। আর পরিচালক নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অনুমোদন নিতে হবে।
এ ছাড়া চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হবে। নিয়োগ কমিটির প্রধান থাকবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। আর সদস্যসচিব থাকবেন একই বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত বা যুগ্ম-সচিব, অর্থ বিভাগের একজন যুগ্ম-সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক।