প্রধান খাদ্য শস্য চাল ও গম আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিনে ঋণপত্র (এলসি) খোলার নির্দেশনা দেওয়ার পর এবার ইঞ্জিন ওয়েল বা লুব্রিকেন্টস ও এর উৎপাদন বা প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি শিথিল হচ্ছে। এসব পণ্যের এলসিতে ন্যূনতম মার্জিন ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ‘শিল্প কারখানা পরিচালনা ও শিল্প কার্যক্রম সচল রাখাসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন চলমান রাখতে বাজারে লুব্রিক্যান্টস-এর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ইঞ্জিন ওয়েল বা লুব্রিকেন্টস ও এর উৎপাদন বা প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানির এলসিতে ন্যূনতম মার্জিন ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করা যাবে। অর্থাৎ ন্যূনতম মার্জিন কত হবে, তা গ্রাহক-ব্যাংকের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে।’
এর আগে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রধান খাদ্য শস্য চাল ও গম আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিনে ঋণপত্র (এলসি) খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে রোজা উপলক্ষে আবশ্যকীয় ৮টি ভোগ্যপণ্য ‘বাকি’তে আমদানির সুবিধা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অবশ্য ডলারের রিজার্ভে টান পড়ায় গত এপ্রিল থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানে তেল, চিনিসহ ৮ পণ্যের এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আবশ্যকীয় ও বিলাসী পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যের আমদানিতে এলসি খোলায় ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। বিলাসী পণ্যের ক্ষেত্রে এ হার ১০০ শতাংশ।
১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিনে আমদানি করতে চাওয়া পণ্যের এলসির বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে সংগ্রহ করার নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ, এসব পণ্য আমদানিতে ব্যাংক কোনও প্রকার অর্থায়ন করতে পারবে না, এমন নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।