০২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০২:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন


বিএনপির আমলে দুর্নীতিই ছিল নীতি: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১২-২০২২
বিএনপির আমলে দুর্নীতিই ছিল নীতি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আমলে দুর্নীতিই ছিল নীতি: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের শাসনকাল ছিল দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের। সেই সময় দুর্নীতিই ছিল তাদের নীতি। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও লুটপাট মিলে দেশে আরেকটি কালো অধ্যায় শুরু হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাই ছিল অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ উপায়ে।’

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যখনই আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগণের সেবক মনে করে এবং সেভাবেই কাজ করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময়ই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। কখনও দাপট দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখেনি।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচন ছিল গভীর চক্রান্ত। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট পেলেও ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। ২০০৮ সালের অভিযোগহীন নির্বাচনেও বিএনপি ৩১টি আসন পেয়েছে। সেখানে বিএনপি জনগণের ভোটে আবারও কীভাবে ক্ষমতায় আসবে?’

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্বদ্বার বৈঠক শুরু হয়। আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির এটাই শেষ বৈঠক। শনিবার জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের এই বৈঠক মূলতবি থাকবে।

বৈঠকে জাতীয় সম্মেলনের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি পর্যালোচনা এবং সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ১১টি উপকমিটির নেতারা তাদের প্রতিবেদন পেশ করার কথা রয়েছে। দলীয় সভাপতির জন্য বরাদ্দ (কো-অপ্ট) ১০০ কাউন্সিলর অনুমোদন করারও কথা রয়েছে বৈঠকে। আগামীকাল শুক্রবার এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।