করোনা অতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে চিনে। গোটা বিশ্বেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোভিডের নতুন প্রজাতির কারণে চিনে মড়ক লেগে গেছে। চিনের কোভিড পরিস্থিতি চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের ভাইরোলজিস্টদের। করোনা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল, পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। কিন্তু চিনে করোনার বিস্ফোরণ হওয়ার পর থেকে নতুন করে চিন্তা বেড়েছে। উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO/হু)।
হু প্রধান টেড্রস অ্যাদানম গিব্রিয়েসাস বলছেন, চিনে করোনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু হচ্ছে সে ব্যাপারে সঠিক খবর সামনে আসছে না। চিন আবারও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। এদিকে মার্কিন গোয়েন্দারা খবর দিচ্ছে, চিনে হাজারে হাজারে প্রাণ যাচ্ছে প্রায় রোজই। এমনকি আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনে অন্তত ২০ লাখ মানুষের করোনায় মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমানও করা হচ্ছে। হু প্রধান বলছেন, করোনা কতটা ছড়াচ্ছে, কতজন আক্রান্ত হচ্ছেন, সংক্রমণের কী কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তা সঠিকভাবে জানাতে হবে চিনকে। তাহলেই এই অতি সংক্রামক করোনার প্রজাতিকে ঠেকাতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
বিশ্বজুড়ে ভাইরোলজিস্টদের দাবি, চিনে করোনার যে প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে তা ওমিক্রনেরই এক উপপ্রজাতি, নাম বিএফ.৭ (BF.7)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনার এই নতুন প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ ও ‘অতি সংক্রামক’ বলে ঘোষণা করেছে। ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্টকে সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু করা যাবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়াতে পারবে এই প্রজাতি এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই। কাজেই ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও সহজে একে নিকেশ করা যাবে না।
টেড্রস বলছেন, চিনের হাসপাতালগুলির বর্তমান অবস্থা কী সেটা জানাক সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। সংক্রমণ ঠেকাতে ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে চিনকে সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। হু-র বক্তব্য, চিন থেকে সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে হবে। না হলে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ অল্পদিনেই ফের সংক্রমিত হবেন।