২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন


খেরসন লক্ষ্য করে ৭০ টি মিসাইল ছুঁড়ল রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১২-২০২২
খেরসন লক্ষ্য করে ৭০ টি মিসাইল ছুঁড়ল রাশিয়া! ফাইল ফটো


একসঙ্গে ৭০টি মিসাইল! ইউক্রেন লক্ষ্য করে একই সময় বিপুল সংখ্যক মিসাইল ছুঁড়ল রাশিয়া। দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খুব কম সময়ে এহেন ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। এই হামলার ফলে বিদ্যুত্‍হীন হয়ে পড়েছে ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

এই হামলার খবর জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পশ্চিমী দেশগুলির কাছে আরও সহায়তা চেয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে বরাবরের মতোই তিনি বলেছেন, আক্রমণ সামলে ঘুরে দাঁড়াবে ইউক্রেন।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার ইউক্রেনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। চারজনের মৃত্যু হয়েছে এই হামলার ফলে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিদ্যুত্‍ পরিষেবা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খেরসনের অধিকাংশই অন্ধকার হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে জরুরি পরিষেবাগুলিতে বিদ্যুতের জোগান দিতে গিয়ে টান পড়ছে দেশের অন্যান্য জায়গায়।

মিসাইল হামলার পরে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি তাঁর আবেদন, 'এত বার হামলার চালানোর পরেও রাশিয়ার অস্ত্রভান্ডারে প্রচুর মিসাইল অবশিষ্ট রয়েছে। তাদের মোকাবিলা করার জন্য অস্ত্র দরকার ইউক্রেনেরও। সেই সঙ্গে মিসাইল আটকানোর জন্য উন্নত মানের ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন। তবে একটা কথা সকলকে জানিয়ে রাখি, রাশিয়া যতই চেষ্টা করুক না কেন, ইউক্রেনকে হারাতে পারবে না।'

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই ইউক্রেনের উপর মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। তবে প্রাণঘাতী হামলার বদলে ইউক্রেনের একাধিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ শানাচ্ছে রুশ সেনা। তবে শুক্রবারের হামলা সমস্ত তীব্রতা ছাপিয়ে গিয়েছে। সদ্যই মেরামত করা হয়েছিল ইউক্রেনের বেশ কিছু বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন কেন্দ্র। মূলত সেগুলি লক্ষ্য করেই রুশ হামলা হয়েছে। লাগাতার আক্রমণ চালিয়েও ইউক্রেন দখল করতে বাধ্য হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় দশ মাস ধরে যুদ্ধ চলার পরে কৌশল বদলে ঘুরপথে আক্রমণ চালাবে রাশিয়া, এমনটাই আন্দাজ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মতোই ইউক্রেনের বিদ্যুত্‍ উত্‍পাদন কেন্দ্রগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে, যেন শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে প্রাণ হারান সাধারণ ইউক্রেনীয়রা।