২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন


মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগে ‘চায়না হাউস’ চালু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১২-২০২২
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগে ‘চায়না হাউস’ চালু ফাইল ফটো


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা স্টেট ডিপার্টমেন্টে চালু হয়েছে দীর্ঘ পরিকল্পিত ‘চায়না হাউস’। চায়না হাউসের দাফতরিক নাম হলো ‘অফিস অব চায়না কো-অর্ডিনেশন’। খবর রয়টার্স

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চায়না হাউসের যাত্রা ঘোষণা করেন। 

খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে আরও দ্রুত তথ্য বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি নির্ধারণ ইত্যাদিকে আরও ত্বরান্বিত করতেই এই উদ্যোগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, চায়না হাউসের যাত্রা শুরুর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্র চীনকেই তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচনা করছে। 

চলতি বছরের মে মাসে চায়না হাউসের ঘোষণা দিয়েছিলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, এটি মূলত একটি বিস্তৃত বিভাগ যেখানে সমন্বিত অনেকগুলো দল চীন এবং চীনের আশপাশের অঞ্চলের বিষয়াদিগুলো দেখভাল করবে এবং সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বাস্তবায়ন করবে।

ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী চীন বর্তমানে আমাদের সামনে যে পরিমাণ চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ মার্কিন কূটনৈতিকদের সামনে রেখেছে তা আমরা আগে কখনো দেখিনি।’

শুক্রবার চায়না হাউসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তিনি বলেন, “এই বিভাগ নিশ্চিত করবে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ‘দায়িত্বপূর্ণভাবে পরিচালনা’ করতে সক্ষম হবে।”

ব্লিঙ্কেনকে উদ্ধৃত করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি আঞ্চলিক ব্যুরো, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, বহুপাক্ষীয় কূটনীতি এবং কৌশলগত যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যার চীন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে চায়না হাউস।’ 

চায়না হাউস চালু হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চায়না ডেস্ক বন্ধ হয়ে যাবে। তার জায়গা দখল করবে চায়না হাউস। তবে চায়না ডেস্ক অন্য নামে তাইওয়ান, মঙ্গোলিয়া এবং ব্যুরো অব ইস্ট এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স কাজ চালিয়ে যাবে এবং এখনো এই ডেস্কের দায়িত্বে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট ফর চায়না রিক ওয়াটার্স।