ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই আরও একজনকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল সরকার। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হল হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের এক সমর্থককে।
সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়েও পড়েছে। দেখা গেছে, একটি ক্রেন থেকে ঝুলছে সেই যুবকের দেহ। তাঁর হাত-পা বাঁধা। মুখে কালো থলি। প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম মজিদ রেজা রহনাবর্দ। ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর দুই কর্মীকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগও ছিল।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় বার প্রকাশ্যে ফাঁসি দিল ইরান। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান প্রশাসন। সে দেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর বিরুদ্ধেও নিরাপত্তাবাহিনীর এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ ছিল। আরও ২১ জনকে এইভাবে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর হিজাব না পরার অভিযোগে মাহশা আমিনিকে নামে এক মহিলাকে আটক করেছিল ইরানের পুলিশ। তাঁকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ঘণ্টা দুই পরে তাঁর পরিবারকে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন মাহশা। কিন্তু মাহশার পরিবার অভিযোগ করে যে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মাহশার মৃত্যুর পরেই ইরানে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে। এর পর ধীরে ধীরে সেই হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ ইরান সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান চেয়ে আন্দোলনে পরিণত হয়। তাতে অংশ নেন পুরুষেরাও। এখনও বেশ কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।