২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩৬:২৭ পূর্বাহ্ন


ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ১১ হাজার শিশু নিহত বা পঙ্গু: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১২-২০২২
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ১১ হাজার শিশু নিহত বা পঙ্গু: জাতিসংঘ ইয়েমেনের একটি হাসপাতালে একজন ডাক্তার একটি শিশুর কৃত্রিম পা পরীক্ষা করছেন। ছবি: জাতিসংঘ


ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের গত আট বছরে ১১ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে বলে জানিয়েছে, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সোমবার ইউনিসেফের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এই হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, যা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মানবিক সংকটে শিশুদের হতাহতের সর্বোচ্চ সংখ্যা হবে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, হাজার হাজার শিশু তাদের জীবন হারিয়েছে, আরও কয়েক লক্ষ শিশু প্রতিরোধযোগ্য রোগ বা অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, প্রায় ২২ লাখ ইয়েমেনি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে, তাদের মধ্যে এক চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। এই শিশুদের বেশিরভাগই কলেরা, হাম এবং অন্যান্য ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য রোগের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ।

২০১৪ সালে ইয়েমেনের যুদ্ধ শুরু হয় এবং দ্রুত ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে নেয়, সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনী পরের বছর সরকারকে সমর্থন করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে প্ররোচিত করে। যুদ্ধের ফলে বা পরোক্ষভাবে অনিরাপদ পানীয় জল, রোগের প্রাদুর্ভাব, ক্ষুধা এবং অন্যান্য প্রভাবের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

ইয়েমেনের এই মানবিক সংকট সামাল দিতে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা চেয়েছে ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৭৪ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২ অক্টোবর নাগাদ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল। কিন্তু এরপর যুদ্ধরত পক্ষগুলো এর মেয়াদ আর বাড়াতে পারেনি। যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হওয়ার পর থেকে ৬২ শিশু হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও বলছে, বিগত বছরগুলোতে ৩ হাজার ৯০৪ জনের মতো কম বয়সী ছেলেকে যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর ৯০ জনের মতো কম বয়সী মেয়েকে তল্লাশিচৌকিতে কাজ করার মত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।