জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশী প্রবাসীরা। ৪৭ এভেন্যু ও ফার্স্ট এভেন্যুতে অবস্থিত দ্যাগ হ্যামারশোল্ড প্লাজায় আয়োজিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের প্রতি তাদের একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশে একাত্তরের গণহত্যাকে জেনোসাইড হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান। গত আগস্ট মাসে টাইমস স্কয়ারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে একই ধরনের দাবি জানান বাংলাদেশিরা।
চলতি সালের অক্টোবর মাসে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং ওহাইয়ো থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট উত্থাপিত একটি বিলে বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্য বিল উত্থাপন করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যাসহ ২ থেকে ৪ লক্ষ নারীকে যৌন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যে জেনোসাইড সংঘটিত করে সেই মর্মন্তুদ ঘটনার প্রতি দৃষ্টিপাত করে জাতিসংঘ যাতে বাংলাদেশের সেই গণহত্যা ও অপরাধকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে স্বীকৃতি দেয় তার দাবি জানিয়ে শুক্রবার বিকেলে প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশী প্রবাসীরা।
বাংলাদেশে ১৯৭১ এর গণহত্যার পক্ষে একাধিক গণসচেতনতা সৃষ্টি, অপরদিকে কংগ্রেসে বিল উত্থাপন এবং দুটি বিক্ষোভ র্যালিকে অনেকেই আশাব্যঞ্জক বলেছেন। এই বিক্ষোভ র্যালিতে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনবাংলা বেতারের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, সুব্রত বিশ্বাস, শরাফ সরকার, সাগর লোহানি, ডা. মাসুদুল হাসান, ফাহিম রেজা নূর, মিনহাজ আহমেদ, ডা. প্রতাপ দাস, জাকির হোসেন বাচ্চু, স্নিগ্ধা আচার্য ও সুলেখা পাল প্রমুখ। এই বিক্ষোভ র্যালিতে একটি বিশাল ব্যানারও বহন করা হয়।