অবৈধভাবে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা থেকে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। এদের মধ্যে ১০৬ জন পুরুষ ও ৪৮ জন নারী। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
এদিকে, গত নভেম্বরে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করা নৌকাটি এখনও সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জরুরিভিত্তিতে তাদের সহায়তায় আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।
আবারো অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পথে নৌকাভর্তি রোহিঙ্গাদের আটক করেছে মিয়ানমারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানায়, বুধবার একটি নৌকা থেকে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটকের পর দেশটির নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১০৬ জন পুরুষ ও ৪৮ জন নারী বলে জানায় ইরাবতি।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বরে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে ইয়াংগুনের হিলেগু শহর থেকে ৬৮ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে মিয়ানমারের জান্তা পুলিশ। এদের মধ্যে শিশু এবং নারীও ছিল। সম্প্রতি সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
কিছুদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূল থেকে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা উদ্ধার করে দেশটির কোস্ট গার্ড। নভেম্বরের মাঝামাঝি দুই শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করে একটি নৌকা। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রানং উপকূলে থাকার সময় নৌকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একপর্যায়ে সেখানে পানি উঠতে শুরু করে।
চলতি মাসের শুরু থেকে এখনও নৌকাটি আন্দামান সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নৌকাটিতে দুইশোর বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। খাবার ও পানির অভাবে এরইমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
আটকে পড়া শরণার্থীদের উদ্ধার ও জরুরিভিত্তিতে সহায়তা প্রদানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।