ইরানের বিক্ষোভ দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। আন্দোলনকারী মহিলাদের বেধড়ক মারধর করাসহ চোখ, মুখ, স্তন, যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে শটগানের গুলি ।
কাল থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ইরানে। এমনিতেই সে দেশে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন চলছেই কয়েক মাস ধরে। সেপ্টেম্বর মাসে সেই আন্দোলনে অংশ নেওয়া তরুণী, ২২ বছরের মহসা আমিনির মৃত্যু হয় পুলিশি হেফাজতে। তার পরে ফের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। সেই বিক্ষোভের মুখ, ২৩ বছরের যুবক মোহসেনা শেকারিকে আবার গতকাল ফাঁসিতে চড়িয়েছে ইরান।
এর পরেই তেহরান-সহ একাধিক শহরে কার্যত আগুন জ্বলে গিয়েছে। পথে নেমেছেন হাজার হাজার ছাত্রযুব। তাঁদের সঙ্গেই সরাসরি সংঘর্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর।
জানা গেছে, আন্দোলন দমন করতে পাখি মারার পেলেট গান বেছে নিয়েছে বাহিনী। ক্ষতবিক্ষত বহু মহিলার চিকিৎসা চলছে আন্দোলনস্থলেই। পুরুষরাও আহত, তাঁদের পা, পিঠ বেশি জখম হয়েছে। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে তা নয়। তাঁদের মুখ, চোখ, স্তন, পায়ের মাঝেই মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা বাহিনীর।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক চিকিৎসকের কথায়, ‘কুড়ির কোঠার একটি মেয়ের যৌনাঙ্গে দুটি পেলেট গেঁথে গেছে। দুই উরুতে আরও দশটি। উরুরগুলি বের করা গেলেও, ভ্যাজাইনা থেকে পেলেটদুটি বের করা কঠিন।’ চিকিৎসকদের অভিযোগ, বাহিনীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। রীতিমতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট করছে এই পেলেট।