রাজশাহী মহানগরীর খোজাপুর জাহাজঘাট এলাকায় প্রায় দুই বিঘা আয়তনের একটি পুকুর কৌশলে ভরাট করছেন কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা। তার নাম শাজাহান ও ছেলে রাসেল।
তারা মতিহার থানাধিন খোজাপুর জাহাজঘাট এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের পানি মেশিন দিয়ে সেচে কমিয়ে তা ভরাট করা হচ্ছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক স্থানীয়রা জানান, জাহাজঘাট এলাকায় প্রায় ১৫টি পুকুর ছিলো। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি হিনতায় আর অসাধু ব্যক্তি ও পুলিশের মধ্যস্থতায় একের পর এক পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বাসা বাড়ির নারীরা তাদের নিত্যদিনের কাজ যেমন কাপড় ধোয়া, থালা বাসন মাজা, গোসল করা ইত্যাদি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এ নিয়ে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান স্থানীয়রা। পুকুর ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুরের মালিক শাজাহান জানান, পুকুরটি আমাদের কোন কাজে লাগে না। তাই ভরাট করছি। সেখানে ভবন নির্মান করা হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তুহিন জানান, এক কথায় শেষ, মহানগরীতে কোন ভাবেই পুকুর ভরাট করা যাবেনা। তবে পুকুর ভরাটের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নগর পরিকল্পক (আরডিএ) আজমেরী আসরাফি বলেন, আরডিএর তালিকাভুক্ত পুকুর হলে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর তা যদি না হয় তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর বিষয়টি দেখবেন। তবে আজাই একজন অফিসের লোককে সরেজমিনে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যপারে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর উপ পরিচালক, মাহমুদা পারভীনের ফোনে ফোন দেয়া হয়। কিন্ত ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।