২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন


রংপুর বিভাগে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২২
রংপুর বিভাগে করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু ছবি-রাজশাহীর সময়


রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগের আট জেলায় ২৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক শূন্য ২২ শতাংশে। একই সময়ে বিভাগজুড়ে করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলায় করোনা আক্রান্ত ৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগের আট জেলায় ৮৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রংপুরে ৭৪, দিনাজপুরে ৪৪, নীলফামারীর ২৮, লালমনিরহাটে ২৬, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩, পঞ্চগড় ১৮, গাইবান্ধার ১৬ ও কুড়িগ্রাম জেলার ৪ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬১ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত গুরুত্বর ৭৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৫ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে

পরিচালক আরও জানান, রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৬ হাজার ৫৯৩ এবং ৩৩৬ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৯-তে।

এ ছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৪ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৯ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৮ হাজার ৪৭৫, নীলফামারীতে মৃত্যু ৯১ ও শনাক্ত ৫ হাজার ২৭১, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮৩ ও শনাক্ত ৪ হাজার ২৮৩, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৯০১ এবং লালমনিরহাট জেলায় মৃত্যু ৭১ ও আক্রান্ত ৩ হাজার ১৫৪ জন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৬১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ জনের। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৫৩ জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।

রাজশাহীর সময় /এএইচ