ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশটি জরুরি ব্ল্যাকআউট শঙ্কার কথা জানিয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাশিয়ার দুটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পর এ হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অনেক অঞ্চলে জরুরি ব্ল্যাকআউট হতে পারে। অনেক অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য সবকিছু করব।
তিনি বলেন, রাশিয়ার সবশেষ ছোড়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অধিকাংশই ভূপাতিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ১৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং আবাসিক বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে কিয়েভের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে যে, রাজধানীর প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়তে পারে।
ইউক্রেনের অনেক অঞ্চলে এখন তুষারপাত চলছে। এ ছাড়া তাপমাত্রা শূন্যতে গিয়ে ঠেকেছে। কিছু অংশে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৩২ ফারেনহাইট) নিচে তাপমাত্রা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হাইপোথার্মিয়ায় অনেক লোক মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলাগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে। সেসব হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সর্বশেষ হামলায় ইউক্রেনের অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
এদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুটি বিমানঘাঁটিতে জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, মস্কো থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রিয়াজান শহরে ট্যাংকার বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির সাতারভ অঞ্চলে একটি বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।