ইরানে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ‘নীতি পুলিশ’ বিলুপ্ত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। রোববার (৪ ডিসেম্বর) ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফার মোনতাজেরির উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সঠিক নিয়মে হিজাব পরিধান না করে বাইরে আসায় কিছুদিন আগে ইরানের নীতি পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয় ২২ বছর বয়সী কুর্দী তরুণী মাহসা আমিনি। পরে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার এমন মৃত্যুতে ইরানজুড়ে উঠে বিক্ষোভের ঢেউ। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের পর অবশেষে বাতিল করা হলো দেশটির ‘নীতি পুলিশ’।
এদিকে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ইসলামের মৌলিক গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। তবে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়া যেতে পেরে।
১৯৪৩ সাল থেকে ইসলামিক আন্দোলনে শাহ রাজবংশের পতনের পর ইরানে নারীদের মাথায় হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। এ বছরের জুলাই মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সব প্রদেশে হিজাব আইন কঠোরভাবে পালনের আহ্বান জানান।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারো ব্যক্তি। এ ছাড়া বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল প্রথমবারের মতো দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ইরানজুড়ে সেপ্টেম্বর থেকে চলা ব্যাপক অস্থিরতায় দুই শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।