ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিধবা নারীকে সন্তানসহ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ভাসুর গোবিন্দ চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুপুর রানী মন্ডল (৩৪) অভিযোগ করেন, দেড় বছর পূর্বে ক্যান্সারে স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে স্থানীয় বন্ধন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া শান্ত মন্ডলকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য ভাসুর গোবিন্দ চন্দ্র নানা প্রকার নির্যাতন ও কুপ্রস্তাবের মাধ্যমে বিরক্ত করে এবং ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে কোনো কাজ না হলে গত ৩রা নভেম্বর রাতে ছেলে টয়লেটে গেলে নুপুরকে একা পেয়ে তার ভাসুর ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এ ঘটনার একদিন পর ভাসুরের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে সেই মামলায় পুলিশ গোবিন্দকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে এসে গোবিন্দ পুনরায় নুপুর ও তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তারা বাড়িঘর ছেড়ে এখন এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুনরায় স্বামীর ফিরে গিয়ে সন্তান নিয়ে বসবাস করার ব্যবস্থা করার জন্য আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।