ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে (৩৫) ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর বোনের ভাষ্য, সোমবার বিকেলে কলাতিয়া এলাকার বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ওই নারীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কদমতলী এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে গভীর রাতে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুন হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জ থেকে ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় আনা হয়। তাঁর শরীরের ৬৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
ভুক্তভোগীর বোন জানান, তাঁদের তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন ওই নারী। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ে হয়নি তাঁর। বোনকে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।