রাজধানীর ডেমরায় এক পুলিশ কর্মকর্তার ফ্ল্যাট বাসা থেকে সুমাইয়া আক্তার মিম নামে কিশোর গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ডগাইড় পশ্চিম পাড়ার প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া গাজীপুর জেলার বাসন থানার এসআই হানিফ নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার।
প্রাথমিকভাবে থানা পুলিশের ধারণা ওই ফ্ল্যাটের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে এই মৃত্যুর আসল রহস্য নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত সুমাইয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার কুন্দাগ্রামের শাহীন আলমের মেয়ে। সে ৪ বছর আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে কাজের জন্য আসে।
বাড়ির কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনের চতুর্থ তলায় হৈচৈ শুনে সেখানে গিয়ে কাজের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিমের লাশ ফ্লোরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখি। ওই ফ্ল্যাটটিতে এসআই হানিফের স্ত্রী ও তার শাশুড়ি বসবাস করতেন। তার স্ত্রী রাজধানীর পল্টনে একটি মালয়েশিয়ান কম্পানিতে চাকরি করেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসআই হানিফের স্ত্রী বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পরে তার শাশুড়ি সুমাইয়াকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে যান। তিনি ঘরে এসে দেখেন যে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা ও ভেতরের রুমে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমাইয়ার ঝুলন্ত দেহ। এ সময় তিনি জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ফ্লোরে রাখেন। পরে থানায় খবর দিলে নারী পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান (পিপিএম) বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।