নাসির-পরীর দ্বন্দ্ব সর্বপ্রথম সামনে আসে বোট ক্লাবের ঘটনার পর থেকে। এরপরই পরীকে নানাভাবে মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছেন নাসির। পরীও করেছেন মামলা। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০২১ সালে করা সেই মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ সময় আদালতে পরীমণির সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। তবে দীর্ঘ বক্তব্যের পুরো জবানবন্দি আজ নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই আগামী ১১ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পরীর দেয়া জবানবন্দিতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জবানবন্দি সংগ্রহের সময় অভিযুক্ত আসামি অমি ও শহিদুল উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন।
মামলায় আসামি নাসিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন পরী। এ অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভিডিও সে সময় নেটদুনিয়ায় ভাইরালও হয়। তারপরই পরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টির ন্যায়বিচার চান। যার কারণে নাসিরের কাছ থেকে অনেক হুমকিরও সম্মুখীন হন তিনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার দিকে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোটক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। এরপর অমির পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটে সব ঘটনা।