চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন এরপর ঘটা করে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। কিছুদিন সম্পর্ক ঠিক থাকলেও কদিন বাদেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল দেখা দেয়।
যৌতুকের টাকার জন্য সারিকার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ। এমন ঘটনায় অভিনেত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ‘৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য’ মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জিএস বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে সারিকা সাবরিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে বদরুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সারিকা ও বদরুদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর ২০ লাখ টাকা। বিয়ের সময় সারিকার বাবা-মা বদরুদ্দিনকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সারিকার পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাকে মারধর করেন বদরুদ্দিন। এরপর ৫ নভেম্বর সারিকাকে ৫০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় সারিকাকে চুল ধরে এক কাপড়ে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন বদরুদ্দিন। এরপর ১৯ নভেম্বর ধানমন্ডিতে এক সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে বদরুদ্দিন বলেন, ব্যবসার জন্য তাকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে সারিকার সঙ্গে সংসার করবে না।
এ বিষয়ে অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই কিছু না কিছু একটা তো হয়েছেই। তা নাহলে বিষয়টি তো আর মামলা পর্যন্ত গড়াতো না। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। খুব শিগিগরই এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।