নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মধ্যে চার বছর আগে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত চলবে। মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে শহিদুলের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ তদন্ত স্থগিত চেয়ে করা শহীদুল আলমের আপিল খারিজ করে দেন।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ফৌজদারি অপরাধ বাতিল হওয়ার সুযোগ নেই। তদন্তে যা আসবে সেভাবেই চার্জশিট দেবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট জিগাতলা এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। আন্দোলন প্রসঙ্গে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর একই বছর ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের মার্চে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।