ঝিনাইদহে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে তিন কিলোমিটার সড়ক। খানাখন্দ ভরাট করে করা হয়েছে চলাচলের উপযোগী। এতে ভোগান্তি কমেছে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজারো মানুষের।
জাহাঙ্গীর আলম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নিজ অর্থায়নে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা যায়, ঝিনাইদহের হামদহ-টিকারী সড়কে হামদহ বিশ্ববোড় থেকে বয়েড়াতলা বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষের চলাচলের এ সড়কটি। খানাখন্দে পড়ে গাড়ি উল্টে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। মানুষের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ দেখে চেয়ারম্যান তার নিজ অর্থায়নে শুরু করেন সড়ক সংস্কারের কাজ। দুদিন ধরে সড়কের বিভিন্ন খানাখন্দে ইট-বালু ও সুরকি ঢেলে তার ওপর রোলার দিয়ে মসৃণ করা হচ্ছে। এতে কমেছে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি।
সড়কে চলাচলকারী ভ্যানচালক মজনু মিয়া বলেন, এ রাস্তাটুকু ভাঙা হওয়ায় এতদিন অনেক কষ্ট হতো। ভ্যান প্রায় উল্টে যেত। চেয়ারম্যান রাস্তা ঠিক করে দিয়েছেন, এখন ভ্যান চালাতে আর কোনো সমস্যা নেই।
ইজিবাইকচালক রানা আহম্মেদ বলেন, ‘আমি প্রতিদিন নারিকেলবাড়িয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে আসি। বিশ্বরোড থেকে বয়েড়াতলা বাজার পর্যন্ত রাস্তা ভাঙা হওয়ায় যাতায়াতে সময় বেশি লাগত। এ ছাড়া ইজিবাইকের চাকা গর্তে পড়ে প্রায় নষ্ট হয়ে যেত। চেয়ারম্যান নিজের টাকা দিয়ে কিছুটা হলেও সংস্কার করে দিয়েছেন। এতে আমাদের দুর্ভোগ কমেছে।’
কলেজছাত্র মুন্না হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। রাস্তা ভাঙা থাকায় সময়মতো কলেজে পৌঁছাতে বেগ পেতে হতো। এখন সে সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সড়কটি যদিও পৌরসভার মধ্যে পড়েছে, কিন্তু এ সড়ক দিয়ে আমার ইউনিয়নসহ আশপাশের আরও কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করে। সড়কের বেহাল দশার ফলে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, সড়ক সংস্কার হতে সময় লাগবে। পরে তার সহযোগিতায় আমি নিজ অর্থায়নে সংস্কারকাজ শুরু করেছি। আমি চেয়েছি মানুষের কষ্ট যেন লাঘব হয়।’