২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ
অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২২
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ


বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। ভারতে উচ্চশিক্ষা নেয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানী গুলশানের পুরাতন ভারতীয় ভবন প্রাঙ্গনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হাই কমিশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ভারতে উচ্চশিক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন মৈত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের শেকড় মুক্তিযুদ্ধ। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্ক দিন-দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিকে ছাপিয়ে দুইদেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতিমারির বিরতির পর আবারো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যাচ্ছে। তারা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে নতুন সেতু যুক্ত করেছে। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতি ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো সম্পর্কে ভারতীয়রা অবগত হচ্ছেন। ভারতে বাংলাদশের অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা নিয়েছে বা নিচ্ছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আন্তরিক।

এ সময় মৈত্রী সংগঠনের সদস্যদের ভারতে ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অশ্বাস দেন। প্রতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পালিত হওয়া মৈত্রী দিবস দুই দেশের সহযোগিতাকে আরো দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালন করি। এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করবে।

মৈত্রীর উপদেষ্টা ব্যরিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন, ‘ভারত আমাদের পরম বন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আন্তর্জাতিক রিতীনীতি অনুযায়ী আমাদের স্বাধীনতার জন্য কোনও দেশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল, ভারত সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে আমাদের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ভারতে উচ্চশিক্ষা নেয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মৈত্রী সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সংগঠনটির উদ্ধোধন ঘোষণা করেন। দুই দেশে সংস্কৃতি, জ্ঞান ও সহযোগিতা দেয়া-নেয়ার পাশাপাশি সংগঠনটি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে ইন্দো-বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, নারীবিষয়ক চলচিত্র প্রদর্শনী উইমেন মুভি মার্চ উল্লেখযোগ্য। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।