আমের রাজধানী রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার প্রতিটি গাছে নতুন ফুলে বাংলার প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সেজেছে। আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ পাগল করেছে সকলকে। মৌমাছির দল গুণ গুণ শব্দে, মনের আনন্দে আহরণ করে মধু। মৌমাছির এ গুণ গুণ সুরও কেড়ে নেয় অনেক প্রকৃতি প্রেমীর মন। ফাগুন এলেই বাংলার পত্রহরিৎ অরণ্যে নতুন এ পত্র-কুড়ি দেখা যায়। নতুন ফুলে-ফুলে ভরে ওঠে গাছের শাখা। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এ মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
গোমস্তাপুরে সবুজ প্রকৃতির আমেজ এখন অনেকটা এমনই আবেগের হয়ে উঠেছে। বসন্তের ফাগুন আর আমের মুকুল যেন একই সুতোয় গাঁথা। বছরের নির্দিষ্ট এ সময়জুড়ে তাই চাষী তো বটেই, কমবেশী সব শ্রেণির মানুষেরও দৃষ্টি থাকে সবুজ পাতায় ডাকা আমগাছের শাখা-প্রশাখায়। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন ইট-পাথরের গড়া নগর থেকে শুরু করে বিস্তৃত পাবনার গ্রামীণ জনপদেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার বাড়াবাড়ি ইউনিয়ন তেলিপাড়া,গোভস্তাপুর ইউনিয়নের নয়াদিয়াড়ী,বালুগ্ৰাম,রাজারামপুর, পার্বতীপুর ইউনিয়নের রাহোগ্ৰাম,দামকুড়া,আড্ডা,চৌডালা ইউনিয়নের সহ অন্যান্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ল্যাংড়া, ফজলী, হিমসাগর ও আশ্বিনা জাতের আমগাছগুলো মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে।
এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় গোমস্তাপুরে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আম চাষীরা। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। কেউ কেউ গাছের যত্নে বেশ মনোযোগী উঠেছেন। আমগাছগুলোতে মুকুলের ব্যাপক সমারোহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন এবার আমের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন,এবার উপজেলায় ৪হাজার ২'শ ২০হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫% মত আমের মুকুল ফুটেছে।আমের ভালো ফলনের জন্য আমরা যে কোন ব্যক্তিকেই পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত আছি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ