২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৩৩:১৩ পূর্বাহ্ন


আমদানি কমলো হিলি স্থলবন্দরে, রাজস্ব ঘাটতি ৪৯ কোটি টাকা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২২
আমদানি কমলো হিলি স্থলবন্দরে, রাজস্ব ঘাটতি ৪৯ কোটি টাকা আমদানি কমলো হিলি স্থলবন্দরে, রাজস্ব ঘাটতি ৪৯ কোটি টাকা


ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে। আমদানি কমায় গত চার মাসে সরকারের রাজস্ব কমেছে ৪৯ কোটি টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিলো ১৮৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ১৫২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলি বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেই হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই মাসে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ৪২ কোটি ১৪ লাখ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয় ৪২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এতে করে ওই অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩০ ভাগ বাড়তি করে হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এনবিআর। বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হলেও পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২৪১ টন পণ্য আমদানি হয়েছে।

যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে ৬ লাখ ৬৪৪ টন পণ্য আমদানি হয়। এতে করে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের চার মাসে বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৩ টন পণ্য কম এসেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ কমবে। বন্দরে রাজস্ব আহরণ নির্ভর করে পণ্য আমদানির ওপর। তবে ডলারের কারণে ব্যাংকগুলো এলসি দিচ্ছে না। যে কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি কমে যাচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দিনাজপুর জেলার হিলি বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে বিভিন্ন কারণে এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব খাতে।

বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির পাশাপাশি শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ সম্ভব বলে দাবি কাস্টমসের। তবে বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যা সমাধান হলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।