০৮ মে ২০২৪, বুধবার, ০৬:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন


বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ‘৯৭৪ স্টেডিয়ামে’
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ‘৯৭৪ স্টেডিয়ামে’ ‘৯৭৪ স্টেডিয়ামে।’ফাইল ফটো


পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত শহর দোহা। একটা সময় জীবনের চিহ্নও ছিল না যে অঞ্চলে, তা আজ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা শিল্পাঞ্চল। নানা রঙ আর বৈচিত্র্যে ভরপুর এক নগর, কাতারের এই রাজধানী।

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২- এর স্বাগতিক মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটি। নিজেদের কৃষ্টি আর সংস্কৃতিকে মানব সভ্যতার সামনে তুলে ধরতে নানা রঙে তারা সাজিয়েছে নিজেদের শহরটিকে। যার জন্য অর্থ খরচ হয়েছে পানির মতো। ব্রাজিল আর রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় যার পরিমাণ ১৫ গুণ বেশি। কেবল স্টেডিয়ামগুলো বানানোর বাজেটই ছিল এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

স্টেডিয়ামগুলো এক একটির থিম এক এক রকম। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছে দোহার এক স্টেডিয়াম।  দোহা বন্দরের উপকণ্ঠে ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি হয়েছে বিশ্বকাপের এই স্টেডিয়াম। যার নাম রাখা হয়েছে ‘৯৭৪’। কন্টেইনার দিয়ে নির্মিত বিশ্বের প্রথম স্টেডিয়াম এটিই।  

বিশ্বকাপের পরপরই অবশ্য ভেঙে ফেলা হবে স্টেডিয়ামটিকে। আর সেই ভাঙা অংশ দিয়ে তৈরি হবে নতুন কোনো স্থাপনা।

শিপিং কন্টেইনার দিয়ে বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি হলেও এর কাঠামো দাঁড়িয়ে থাকবে স্টিলের ওপর। বসানো হবে রিমুভেবল সিট। ম্যাচ শেষে যা খুলে ফেলা যাবে অবলীলায়। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এ স্থাপনা এক নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করবে মধ্যপ্রাচ্যে।

পরিবেশবিদ ড. তালার সাহসুভারোলু বলেন, ‌‘এটা আমাদের জন্য একটা নতুন ধারণা। পুরো কাঠামোই বানানো হচ্ছে রিসাইকেল্ড যন্ত্রপাতি দিয়ে। বিশ্বকাপ শেষে পুরোটাই ভেঙে ফেলা হবে। তবে কোনো কিছুই নষ্ট করা হবে না। টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশের কথা ভাবলে এটা দুর্দান্ত একটা কাজ।’

ভেঙে ফেলা হবে বলে অবশ্য কারুকাজে কোনো কমতি নেই স্টেডিয়ামটিতে। দোহার পোর্ট সিটির ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই তৈরি হয়েছে অ্যারেনাটি। প্রতিটি কন্টেইনার ভিন্ন ভিন্ন রঙের হওয়ায় বাচ্চাদের বিল্ডিং ব্লক খেলনার মতো দেখাবে বাইরে থেকে। আর খুব সহজেই পরে এগুলোকে ব্যবহার করা যাবে নতুন কোনো স্থাপনার কাজে।

স্টেডিয়ামটি হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মিনিটখানেক দূরে অবস্থিত। গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ ছাড়াও এখানে অনুষ্ঠিত হবে শেষ ষোলোর একটি ম্যাচ। 

নাম: ৯৭৪ স্টেডিয়াম

স্বাগতিক শহর: দোহা

সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৪০,০০০

মোট ম্যাচ: ৬টি (গ্রুপ পর্বের ম্যাচ, শেষ-১৬)