০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন


ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সিটিতে স্থাপিত ওয়াই-ফাই সিস্টেম হস্তান্তর
সাদাত
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২২
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সিটিতে স্থাপিত ওয়াই-ফাই সিস্টেম হস্তান্তর ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সিটিতে স্থাপিত ওয়াই-ফাই সিস্টেম হস্তান্তর


ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ৩৫টি স্থানে ৭৪টি ফ্রি ওয়াই-ফাই এক্সেস পয়েন্ট স্থাপন করা হয়। করোনা অতিমারীর কারনে কিছুটা বিলম্বে, গত ৬ই ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল উল্লেখিত ক্লাউড বেজড ফ্রি ওয়াই-ফাই সিস্টেম কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হস্তান্তর আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মানীত সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মো: খিজির খান, পি ইঞ্জ, এফআইইবি, ইঞ্জিনিয়ার্স। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মধুসূদন চন্দ বিসিসির পক্ষে ফ্রি ওয়াই-ফাই সিস্টেম হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ নগর পরিকল্পনাবিধ জনাব মোঃ তানভীর হাসান রেজাউল উক্ত ফ্রি ওয়াই ফাই সিস্টেম বুঝে নেন। এই অনুষ্ঠানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আমরা নেটওয়ার্কস, এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক জনাব মধুসূদন চন্দ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে, আমরা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আমাদের জীবন ভাবতে পারি না। অনেক মানুষ কক্সবাজারে আসেন যাদের নির্বিঘœ সংযোগ প্রয়োজন। প্রকল্পটি প্রায় দুই বছর ধরে চালু রয়েছে এবং এটি অসংখ্য মানুষকে দারুণভাবে সেবা দিয়ে আসছে। এই প্রকল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর পরিশ্রম এবং হুয়াওয়ে ও আমরা নেটওয়ার্কস -এর মতো সহযোগীদের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।" 

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ নগর পরিকল্পনাবিধ জনাব মোঃ তানভীর হাসান রেজাউল, বলেন, “এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য এবং আজ আমাদের হাতে এর দায়িত্ব দেবার জন্য আমি বিসিসিকে ধন্যবাদ জানাই। এর কার্যকারিতা নিশ্চিতে আমরা যথাসাধ্য কাজ করে যাব।”

এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন সম্পর্কে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ (টেকনোলজিস) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ইউইং কার্ল বলেন, “সরকারের ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এই প্রকল্পের সহযোগী হতে পেরে হুয়াওয়ে খুবই আনন্দিত। আগামীতেও এভাবেই বাংলাদেশের জনগণকে একটি পরিপূর্ণ সংযুক্ত করতে পাশে থাকবে হুয়াওয়ে।”

উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই সিস্টেম’ চালু করা হয়। শর্তানুয়ায়ী এখন থেকে ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সিটিতে স্থাপিত ফ্রি ওয়াই-ফাই সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষনের যাবতীয় ব্যয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বহন করবে। 

এই প্রকল্পের আওতায় লাবনি সমুদ্র সৈকত, কলাতোলি সৈকত, সালশা বিচ এর মতো পর্যটন স্পটগুলিসহ কক্সবাজার নগরের গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ টি এলাকায় ৭৪ টি ওয়াই-ফাই এক্সেস পয়েন্টে (এপি) ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেশি ও বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয় নাগরিকগন বিনা মূল্যে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-সরকারী পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবে। এ সুবিধা পেতে সেলফোন নম্বর দিয়ে যুক্ত হতে হবে। যুক্ত হওয়ার প্রথম ধাপে মোবাইল বা প্যাড বা ল্যাপটপে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। ফিরতি এসএমএসে পাসকোড আসবে। তবে ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার ও ডাউনলোড থাকবে নিয়ন্ত্রিত। এই ক্লাউড-পরিচালিত পাবলিক ওয়াই-ফাই সিস্টেম এর সমস্ত সল্যুশন এবং ডিভাইস প্রদান করছে হুয়াওয়ে টেকনোলোজি।

পরিশেষে সভাপতি মহোদয় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রাজশাহীর সময় /এএইচ