রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আবুল হাসেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মামলায় ৭জন আসামীর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে ৫জন আসামী বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তার পরিবারের সদস্যদের। তবে এক মাস অতিবাহিত হলেও এই মামলার প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ্ আল রঞ্জু শেখ প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও অজ্ঞাত কারনে গ্রেফতার করছেনা চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী আবুল হাসেমের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল প্রামনিক ও তার আপন বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম। তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৫০০০০৪৮৮৭।
আহত মোঃ আবুল হাসেমের স্ত্রী মামলার বাদি মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসীর দাবি, আসামীরা জামায়াত-বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাডার। তাদের নেপথ্যে থেকে সহযোগীতা ও প্রশাসনিক তদবির করছে রাজশাহী মহানগরের এক প্রভাবশালী সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তবে তিনি ওই নেতার নাম প্রকাশ করেননি। তার দাবি মোবাইল রেকর্ড রয়েছে তার কাছে।
তিনি আরও বলেন, গত (৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় শালবাগান সিটি গ্যারেজের পেছনে (নয়ন বিডিআর এর বাড়ির সামনে) রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ১২/১৩ জন দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীকে এলোপাথারী ভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
এরপর গত (৫ জানুয়ারী) আমি বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলায় ৭জন আসামীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করা হয়।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আসামীরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে, আমরা হইলাম বসের লোক। আমাদেরকে পুলিশ ধরবেনা। বস বলেছে এবার তো চাকু মেরেছিস। বেঁচে গেছে। এরপর একেবারে প্রাণে মেরে ফেলবি। এছাড়া বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আসামীরা বলছে মামলা না তুললে আমাকে সহ আমার নাবালক দুই বাচ্চাদের প্রাণে মেরে ফেলবে।
এর আগে, গত (২ ফেব্রুয়ারী) রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবে আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মামলার বাদি মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসী। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন আহত স্বামী আবুল হাসেম ও তার সন্তান ফারদিন আহম্মেদ ও মাহাদি হাসান।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার এসআই ফারুক জানান, প্রধান আসামীকে গ্রেফতারে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু পালিয়ে বেড়ানোর কারনে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। তবে শিঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
প্রধান আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরান আলী বলেন, প্রধান আসামী গ্রেফতারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানেই পাবে তাকে গ্রেফতার করা হবে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
রাজশাহীর সময় / এম জি