বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। ফেসবুকে মিম-রাজ-রাফির নাম উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
যেখানে পরীর স্বামী শরীফুল রাজের সঙ্গে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন। পরীর ওই স্ট্যাটাসের পর নেটমাধ্যমে শোরগোল তৈরি হয়েছে। কেন এই স্ট্যাটাস? কী এর কারণ? বিষয়টি নিয়ে যদিও তারা কেউ মুখ খুলছেন না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মিমের সঙ্গে রাজের যে সম্পর্ক তা পরীর হয়তো মোটেও ভালো লাগছে না। সে কারণে অন্দরমহলের খবর প্রকাশ্যে এনেছেন পরীমনি।
মূলত ‘পরাণ’ সিনেমা হিট হওয়ার পর থেকে শরীফুল রাজ ও মিমের সম্পর্ক বেশ শক্ত। এরপর ‘দামাল’ সিনেমার মুক্তির আগে থেকে প্রচারে ব্যস্ত এই অভিনয়শিল্পীরা। ১৩ অক্টোবর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন পরীমনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সিয়ামকে সিনেমার বাইরে কোনো নায়িকার হাত ধরে চটকা-চটকি করতে দেখি নাই কোনোদিন। তার এই ব্যাপারটা আমার হেব্বি লাগে।’ এরপরই একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি জুড়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
১৩ অক্টোবরের ওই স্ট্যাটাসের পর থেকে নেটিজেনরা ধারণা করেন, হয়তো পরীর সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে! ধারণা করা হলেও পরীমনির জন্মদিন ২৪ অক্টোবর শরীফুল রাজ গণমাধ্যমের সামনে পরীমনিকে জড়িয়ে ধরিয়ে বলেন, ‘আমাদের মাঝে কোনো সমস্যা নেই। আমরা সারা জীবন একে অপরের পাশে থাকব।’ কিন্তু জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পার না হতেই বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দিলেন পোস্ট। সেখানে তিনি পরাণ এবং দামাল সিনেমার কলাকুশলীদের দিলেন বিষাক্ত ছোবল।
পোস্টে নির্মাতা রায়হান রাফিকে ‘দালাল’ বলে উল্লেখ করেন পরীমনি। মিমকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’ রাজকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘এটা এতদূর গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি।’ পরীর এই স্ট্যাটাস যখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল, গণমাধ্যমগুলো যখন পরীর ব্যক্তিজীবনের খবর প্রকাশ করে, ঠিক তারপরই বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিম।
নিজের ফেসবুকে মিম জানান, প্রমাণ ছাড়া কোনো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তাকে নিয়ে করা হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
এদিকে পরীর ওই স্ট্যাটাস দেয়ার পর সাইবার ক্রাইমের এডিসি নাজমুল ইসলাম পরীমনির স্ট্যাটাসের নিচে কমেন্ট করে অনুরোধ করেন স্ট্যাটাসটি ডিলেট করতে। কমেন্টেসে নাজমুল ইসলাম অনুরোধ করেন, ঘরের বিষয়টি ঘরেই সমাধান করা উচিত। সবার সম্মানবোধ আছে। কিন্তু পরী তার কমেন্টে রিপ্লাই দিয়ে জানান, বিষয়টি আর ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি বাইরের বিষয় হয়ে গেছে, তাই স্ট্যাটাস নামিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পরীমনি ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেক সমস্যায় রয়েছেন। তাই নিজের সংসার বাঁচাতে তার এই স্ট্যাটাস।
বিষয়টি নিয়ে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে রাজি হননি। তবে এখন দেখার অপেক্ষা–কোন দিকে এ ঘটনা গড়ায়। সবকিছু স্বাভাবিক হবে নাকি, দুই নায়িকার এই যুদ্ধ চলবে?