সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কয়েক মাসের টানা আন্দোলনে স্থবির সুদান। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। বেকার হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রোববারও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির বিভিন্ন শহরের রাজপথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। আহত হন অনেকে।
গত কয়েক মাসের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববারও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সুদানের রাজপথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। ঢাকঢোল পিটিয়ে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের জানান দেন বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় পতাকা হাতে জান্তার বিরুদ্ধে দেন স্লোগান।
তবে সেই বিক্ষোভ খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। আন্দোলনকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। রাজধানী খার্তুম ছাড়াও সুদানের অন্যান্য শহরেও সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। সামরিক সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমাদের আন্দোলনের কারণ অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের হত্যা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। কোনোভাবেই আমরা পিছু হটব না। বেসামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। সেনা কর্মকর্তাদের আমরা ক্ষমতায় দেখতে চাই না।
তারা আরও বলেন, আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই। এই সরকারের পতন। সেনাদের হাতে সুদানের ক্ষমতা থাকতে পারে না। গত ছয় দশকের অভিজ্ঞতা ভালো না। তারা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছি।
গত কয়েক মাসের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮০ জন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি। টানা আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে সুদানের অর্থনীতি।
রাজশাহীর সময় / এম জি