রাজধানীতে আলাদা ঘটনায় যাত্রাবাড়ী ও কামরাঙ্গীরচরে স্কুলছাত্রীসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন রং মিস্ত্রী সোহেল (৩০) ও স্কুলছাত্রী মায়শা আক্তার মমি (১৪)। বুধবার (৯ নভেম্বর) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে সোহেলের বাবা সাবান আলী শেখ জানান, তাদেরবাড়ি মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলায়। যাত্রাবাড়ী কাঠেরপুল মোহাম্মদ খান রোডের একটি বাড়িতে একাই থাকত সোহেল। তার স্ত্রী জহুরা আক্তার সৌদি প্রবাসী। তাদের কোনো সন্তান নেই। স্ত্রীর সাথে বনিবনা নেই দীর্ঘ ৭-৮ বছর। তবে ইদানিং আবার তারা যোগাযোগ শুরু করে।
তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য তার বাসায় গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ভেতরে উঁকি দিতেই দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে সে। তখন বাড়িওয়ালাই থানায় খবর দেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বাসার ৩য় তলার রুম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে প্রাথমিক তদন্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্ত্রীর সাথে রাগ, অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে স্কুলছাত্রী মায়শার বাবা মকবুল হোসেন মমিন জানান, তাদের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলায়। তিনি গ্রামে থাকেন। ২ মেয়েকে নিয়ে তাদের মা পেয়ারা বেগম কামরাঙ্গীরচর মাহাদীনগর ১ নম্বর গলির জসিমের টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। হাজারীবাগের শেখ রাসেল স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ে মায়শা। বাবা পেশায় গাড়ি চালক আর মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মায়শা।
মা পেয়ারা বেগম জানান, বুধবার সকালে তিনি কাজে যাওয়ার সময় দুই মেয়েকে স্কুলে দিয়ে যান। বিকেল ৪টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ছোট মেয়ে মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছে। আর বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তখন প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে মায়শা। তখন তাকে নামিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তার মা।
