শ্রীদেবী-কন্যা তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। অল্প দিনের অভিনয়-জীবনে নিজেকে প্রমাণ করতে শুরু করেছেন জাহ্নবী কাপূর। ৪ নভেম্বর ‘মিলি’ মুক্তির পর তাঁকে আবার নতুন রূপে দেখেছেন দর্শক। ছবি সুপারহিট না হলেও, জাহ্নবী পারেন। পর্দায় তাঁর উপস্থিতি যে দর্শক টানতে সক্ষম হবে আগামী দিনেও, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। আর দর্শকও তো চাইছে নতুন মুখ! এ বার কি প্রয়াত মায়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমবে তরুণী নায়িকার?
বরাবরই স্পষ্ট কথা বলেন জাহ্নবী। তাঁকে শ্রীদেবীর সঙ্গে তুলনা করা হবে সেটা জেনেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন বলে জানান। আর ইচ্ছেটা ছিল তাঁর মায়েরই। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী তিনি। জানতেন, কিছু দিন পরে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সক্ষম হবেন তিনি।
‘মিলি’-তে জাহ্নবীকে দেখে প্রশংসায় ভরিয়েছেন অনেকেই। ছবির প্রযোজক জাহ্নবীর বাবা বনি কাপূর। কেরিয়ারের ষষ্ঠ ছবিতে বাবার সঙ্গে হাত মেলালেন জাহ্নবী। কিন্তু আগেই তো পারতেন? প্রশ্ন করা হলে সম্প্রতি জবাবটা দেন নায়িকা। এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “আমরা সচেতন ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম ছবি বাবার প্রযোজনায় হলে লোকে আমায় গুরুত্ব দিতেন না। ভাবেন, বাবা ছিলেন বলে সহজে বলিউডে আসা গেল। কিন্তু সেটা হতে দেওয়া যায় না। আমার নিজেকে প্রমাণ করার ছিল।” ব্যবসার দিক থেকেও এটি নিরাপদ পন্থা ছিল।
জাহ্নবী জানান, তাঁর বাবা যখন প্রথম ‘মিলি’-র মালয়ালম সংস্করণটি দেখছিলেন, চোখে জল এসে গিয়েছিল। নিজেকে আর মেয়েকে দেখতে পাচ্ছিলেন সেই ছবিতে। তখনই সিদ্ধান্ত নেন এই ছবিটি একসঙ্গে বানাবেন। জাহ্নবীর কথায়, “ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারবে, আমি উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। অযোগ্য নই। আরও ভাল কাজ করব, যাতে সবার মনে জায়গা করে নিতে পারি।”