জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে মিশরের শার্ম এল-শেখ এ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই জলবায়ু সম্মেলনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবে।
মোট ১৩ দিনব্যাপী সম্মেলনের এবারের আয়োজনে ১৯৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তবে গতবার গ্লাসগোতে কপ-২৬-এ অংশ নিলেও এবার মিশর যাচ্ছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য থেকে অনেক পিছিয়ে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড মাত্রার নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। তবে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের পরিকল্পনা এখনও অপর্যাপ্ত। পরিবেশবাদী নেতারা উন্নত দেশগুলোকে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে বলছেন। এ সম্মেলনে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার লোক অংশ নেবেন, যার মধ্যে ২৪ হাজার কূটনীতিক এবং ১৩ হাজার পর্যবেক্ষক।
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিতে কপের জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সবশেষ গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপের ২৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।